ক. ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা মার্কেটিং, ক্রয়-বিক্রয়, গ্রহণ-বিলি করা, ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ইত্যাদি করাই হচ্ছে ই-কমার্স।
খ. নি¤œ তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় ,(40-°.?) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে। অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে।
গ. মিষ্টি টমেটো উৎপাদনে নাঈমের মামার ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। এক কোষ থেকে সুনির্দিষ্ট জীন নিয়ে অন্য কোষে স্থাপন ও কর্মক্ষম করার ক্ষমতাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় তাকে রিকম্বিন্টে DNA প্রযুক্তি বা জিন ক্লোনিং বলা হয়। এ পদ্ধতি প্রয়োগে জীনসহ DNAঅণুর অংশকে কোষের বাইরে ছেদন করে ব্যাকটেরিয়ার প্লাজমিড DNA- তে প্রতিস্থাপন করা হয়। এভাবে গঠিত নতুন জীন ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় এবং অন্য কাঙ্খিত জীব কোষে প্রবেশ করানো হয়। এর মাধ্যমে জীবজগৎ নতুন বৈশিষ্ট্য পেয়ে থাকে। উচ্চ ফলনশীল বীজ, সারা বছর সবজি, বিভিন্ন ধরনের ফল প্রভৃতি উৎপাদনের সফলতার জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে শাকসবজি, ফল-মূল উৎপাদন এবং রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।
ঘ. উদ্দীপকে দরজা খোলার জন্য বায়োমেটিক্স পদ্ধতির ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের রেটিনা ব্যবহার করা হয়েছে।
দরজা খোলার কাজে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিদ্বয়ের মধ্যে হাতের স্পর্শ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত, যা ফিঙ্গার প্রিন্ট নামে পরিচিত। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পূর্ণ ইউনিক এবং সারাজীবন ধরে অপরিবর্তিত থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট এতোটাই স্বতন্ত্র্য যে দুটি যমজ শিশু একই ডিএনএ প্রোফাইল নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মানুষের আঙুলের ছাফ মেশিনে ধারণ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙুলের নিচের অংশে ত্বকে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে মিলে গেলে অ্যাকসেস প্রদান করে। এ পদ্ধতিতে সফলতার পরিমাণও বেশি। এ কারণে হাতের স্পর্শ পদ্ধতিই বহুল ব্যবহৃত। চোখের রেটিনা পদ্ধতিতেও একইভাবে ব্যক্তি শনাক্ত করা গেলেও এর সফলতার হার তুলনামূলকভাবে কম।