জামান দক্ষিন কোরিয়াতে ড্রাইবার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নিয়ে আসে। যেখানে সে প্রথম এক মাস একটি বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষন গ্রহন করে।এই পরিবেশেই সে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর নানা কৌশল রপ্ত করে।জামান তার কাজের পাশাপাশি আরও একটি প্রতিষ্ঠানের ডেটা এন্ট্রির কাজ নেয়।তার পাঠানো অর্থেই গ্রামের বাড়িতে তার অর্ধপাকা ঘরটি আজ দোতলা দালানে পরিণত হয়েছে।
(ক) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী ?
(খ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায় ?
(গ) উদ্দীপকে জামানের প্রবাস জীবনে কোন প্রযুক্তিটির কথা বলা হয়েছে? ব্যাখা কর।
(ঘ) জামানের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর:
(ক) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী ?
উত্তর ক):মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারের মধ্যে রূপ দেওয়াকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে কম্পিউটারের চিন্তা ভাবনাগুলো মানুষের মতই হয় ।
(খ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর খ):যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাবহার করে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা যায় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে ফেইসবুক,টুইটার,গুগল প্লাস,মাইস্পেস ইত্যাদী ওয়েবসাইটকে বোঝায়। এ সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো ব্যাবহার করে দেশ বিদেশের যে কোনো জায়গায় অবস্থানরত বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষ পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করে বন্ধুত্ব স্থাপনেএবং স্বাধীনবাবে মতবাদ প্রকাশ করতে পারছে।আবার পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি ও আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেইসবুক অন্যতম মাধ্যম।
(গ) উদ্দীপকে জামানের প্রবাস জীবনে কোন প্রযুক্তিটির কথা বলা হয়েছে? ব্যাখা কর।
উত্তর গ):উদ্দীপকের জামানের প্রবস জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে।এছাড়াও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করার জন্য তথ্য ও যোগাযেগ প্রযুক্তি ব্যাবহার করেছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত।প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্যেগকারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশকে এমনভাবে তৈরী ও উপস্থাপন করা হয় যা ব্যাবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়।ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করার সময় তথ্য আদান-প্রদানকারী কম্পিউটার একটি ত্রি-মাত্রিক স্ক্রিন সংবলিত একটি হেরমেট পরে এবং তার মধ্য দিয়ে বাস্তব থেকে অনুকরনকৃত অ্যানিমেশন বা প্রানবন্ত ছবি দেখে।কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতে উপস্থিত থাকার ভ্রমন একটি গতি নিয়ন্ত্রনকারী সেন্সর দ্বারা প্রভাবিত করা হয় ।উদ্দীপকের জামান সাহেব দক্ষিণ কোরিয়াতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে এক মাস যাবৎ গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষন গ্রহন করে।
উদ্দীেপকের জামান ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগতে প্রবেশ করে গাড়ি চালানোর কৌশলগুলো রপ্ত করে ।
(ঘ) জামানের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
উত্তর ঘ):উদ্দীপকে জামানের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।জামান দক্ষিন কোরিয়াতে ড্রাইভার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নিয়ে আসে।ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশ সে প্রথম এক মাস একটি বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষন গ্রহন করে।
তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যাবহার করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতে পারছে। কারন জামান যদি তথ্য প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যাবহার না করত তাহলে সে একটি প্রতিষ্ঠানে চািকরির পাশাপাশি অন্য অফিসে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারতো না। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তিই জামানকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়তা করছে।বিভিন্ন দেশের মানুষ তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই ঘরে বসেই অফিস -আদালত বা নির্দিষ্ট কর্মসংস্থানে আসার প্রয়োজন হচ্ছে না ।এতে করে মানুষ অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটিার ও ইন্টারনেট।প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ জনবল তৈরী করে বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।এত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।বর্তমান শতাব্দীর বিশ্বায়নের ফলে একটি দেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্যতম নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে ।
টেলিফোন ও ডেটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স উপায়ে অর্থের লেনদেন করাকে বলা হয় ইরেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার।উদ্দীপকে জামান সাহেব অন লাইন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে বাড়িতে বিদেশের উপার্জিত অর্থ পাঠিয়েছেন। তথ্য ও প্রযুক্তির উপাদান ব্যাবহার করেই জামান দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, জামানের বর্তমান অবস্থার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে।