2016 সালের যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্ন সমাধান (১নং প্রশ্ন)

ক. ন্যানো মিটার স্কেলে পরিমিত যে কোনো বিষয়ের বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানোপ্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি বলে।

খ. টেলিমেডিসেন একধরনের চিকিৎসা সেবা যা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে দূর থেকৈ রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট হতে অতিদ্রুত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে ঘরে বসেই টেলিকনফারেন্স বা ভিডিও কনফারেন্স বা অনলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা যায়, একে টেলিমেডিসিন বলে। এছাড়া, ইন্টারনেট ও ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে এক দেশের চিকিৎসক অন্য দেশের চিকিৎসকের সাথে সহজেই অনলাইন যোগাযোগ স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উন্নতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। টেলিমেডিসিন যেহেতু চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করে তাই এটি অবশ্যই একটি সেবা।

গ. উদ্দীপকে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে কর্মচারীদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাস্তব নয়, তবে বাস্তবের ধারণা সৃষ্টি করতে সক্ষম এমন কল্পনা নির্ভর বিষয় অনুভব করার ত্রিমাত্রিক অবস্থা উপস্থাপনকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা কল্পবাস্তবতা বলে। স্বল্প মূল্যের মাইক্রো কম্পিউটার প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ড্রাইর্ভি সিম্যুলেটর উন্নয়ন করা হয়েছে। কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসত হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম। ফলে ব্যবহারকারী যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অংশের ৩৬০ ডিগ্রি দর্শন লাভ করেন এবং কম্পিউটার সৃষ্ট পরিবেশে মগ্ন থাকেন। এতে অল্প সময়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. ‘ক’ এর প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো আঙুলের ছাপ যা এক ধরনের বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি। বর্তমানে আঙুলের ছাপ দিনয়ে নিাপত্তা ব্যবস্থা একটি জনপ্রিয় বায়োমেট্রিক সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অপটিক্যাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আঙুলের ছাপের ইমেজ নেয়া হয়। ইনপুটকৃত ইমেজের অর্থাৎ আঙুলের ছাপের বিশেষ কিছু একক বৈশিষ্ট্যকে ফিল্টার করা হয় এবং এনক্রিপ্টেড বায়োমেট্রিক কি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্টের ইমেজকে সংরক্ষণ না করে সংখ্যার সিরিজ (বাইনারি কোড) কে ভেরিফিকেশনের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেমের অ্যালগরিদম এ বাইনারি কোডকে ইমেজে পুনঃরূপান্তর করতে পারে না। তাই কেউ ফিঙ্গার প্রিন্টকে নকল (ডুপ্লিকেট) করতে পারে না। বায়োমেট্রিক্স ডিভাইস, যেমন ফিঙ্গার স্ক্যানারে থাকে একটি রিডার অথবা স্ক্যানিং ডিভাইস এবং সফটওয়্যার যা স্ক্যান করা তথ্যকে ডিজিটাল ফর্মে রূপান্তর করে এবং ম্যাচিং পয়েন্টগুলো তুলনা করে। বায়োমেট্রিক ডিভাইসগুলোর মধ্যে বিশ্বজুড়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তুলনামূলকভাবে কম দামী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং প্রচুর ডেটা রাখতে পারে বলে আজকাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী ও অন্যান্যদের প্রবেশ ও বের হবার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি এ পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Previous article2016 সালের রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্ন সমাধান (৬নং প্রশ্ন)
Next articleঢাকা সিটি কলেজ,ঢাকা 2019 সালের পরীক্ষার্থীর জন্য নির্বাচনী পরীক্ষার নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন সমাধান